Header Ads Widget

Responsive Advertisement

Ticker

6/recent/ticker-posts

কৃষ্ণাঙ্গদের কেন্দ্রে নেওয়ার শেষ চেষ্টা ডেমোক্র্যাটদের

 

   
আগাম ভোট দিতে লাইনে অপেক্ষা করছেন কৃষ্ণাঙ্গ ভোাটাররা। তাদের সর্বোচ্চ সংখ্যককে কেন্দ্রে আনতে চেষ্টা     চালিয়ে        যাচ্ছে ডেমোক্র্যাটরা। উইসকনসিন রাজ্য থেকে তোলা
ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই দিন বাকি। এ অবস্থায় কৃষ্ণাঙ্গসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমর্থনকে ব্যালটে অনূদিত করার শেষ চেষ্টা চালাচ্ছে ডেমোক্রেটিক দল।

মার্কিন সাময়িকী পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক আগাম ভোট পড়েছে, যেখানে ডেমোক্র্যাটদের অংশগ্রহণই বেশি। তারপরও দলটি আসন্ন নির্বাচনের ফল নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না। ২০১৬ সালের নির্বাচনের ক্ষত এখনো তাকে অস্বস্তিতে রেখেছে। এ কারণে শেষ মুহূর্তের প্রচারেও পুরো দেশ চষে বেড়াচ্ছে দলটি। বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।

ডেমোক্রেটিক দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের পক্ষে এবার দলটি কোনো রাখঢাক ছাড়াই প্রচার চালাচ্ছে। আগের মতো শুধু ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ক্ষান্ত থাকছেন না প্রচারকর্মীরা। তাঁরা সরাসরি ‘বাইডেনকে ভোট দেওয়ার’ আহ্বান জানাচ্ছেন।

এমনিতেই কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ডেমোক্রেটিক দলের প্রতি সমর্থন বেশি। কিন্তু এই ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার হার কম। আর এখানেই শঙ্কা কাজ করছে। পলিটিকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছে জো বাইডেন-কমলা হ্যারিসের বার্তা পৌঁছে দিতে সম্ভাব্য সব মাধ্যমকেই কাজে লাগাচ্ছে ডেমোক্রেটিক দল। মোবাইলে ম্যাসেজ, রেডিও, টেলিভিশনসহ ডিজিটাল সব প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগানো হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে দলটির কংগ্রেসনাল ব্ল্যাক ককাস বিপুল অর্থ ব্যয় করছে। এরই মধ্যে শুধু কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের, বিশেষত তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে বিজ্ঞাপন বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

ডেমোক্র্যাট নেতাদের ভাষ্যমতে, এত বিস্তৃত প্রচারের কারণ, তাঁরা চান না ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি হোক। চার বছর আগে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের একটি বড় অংশই কেন্দ্রে যাননি বা অন্য কোনোভাবে ভোট দেননি

ডেমোক্র্যাট নেতাদের ভাষ্যমতে, এত বিস্তৃত প্রচারের কারণ, তাঁরা চান না ২০১৬ সালের পুনরাবৃত্তি হোক। চার বছর আগে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের একটি বড় অংশই কেন্দ্রে যাননি বা অন্য কোনোভাবে ভোট দেননি।

এ বছর এরই মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে ভোট দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এবার সর্বোচ্চসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন। তারপরও ডেমোক্র্যাটরা সেই সব অঞ্চলে জোর প্রচার চালাচ্ছেন, যেখানকার কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারেরা ২০১৬ সালে ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।

ডেমোক্রেটিক দলের জাতীয় কমিটির (ডিএনসি) সদস্য ও ফিলাডেলফিয়ার সাবেক মেয়র মাইকেল নাটার পলিটিকোকে বলেন, ‘২০১৬ সালে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের অধিকাংশই হিলারি ক্লিনটনকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু সমস্যা ছিল। আমরা চাইছি এই সমস্যাকে এবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে। এবারের নির্বাচন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমরা এটা জানি। তাই প্রতিটি ভোট খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

পলিটিকো জানায়, ২০১৬ সালে পড়া মোট কৃষ্ণাঙ্গ ভোটের ৯১ শতাংশই পেয়েছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ২০১২ সালে বারাক ওবামার নির্বাচনের সময় এ হার ছিল ৯৩ শতাংশ। গতবার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের অধিকাংশ হিলারিকে সমর্থন দিলেও বুথফেরত জরিপে দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের মধ্যে কথায়-কাজে মিল কম। এই পার্থক্যটিই এবার ঘোচাতে চাইছেন ডেমোক্র্যাট নেতারা।

এদিকে কৃষ্ণাঙ্গ র‌্যাপার লিল ওয়েন গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ট্রাম্পের প্রতি বিনোদন ও খেলার জগতের আরও অনেক তারকার সমর্থন রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন নিশ্চিতভাবেই এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে কৃষ্ণাঙ্গসহ অশ্বেতাঙ্গ ভোটারদের নিজের দিকে টানতে চাইছেন। ভালো ভালো কথা বলছেন। সমালোচকেরা বলছেন, এটা যতটা না তাঁদের সমর্থন আদায়ের জন্য, তার চেয়ে বেশি শিক্ষিত শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের মধ্যে তৈরি হওয়া তাঁর বর্ণবাদী চরিত্রের ওপর প্রলেপ দেওয়ার উদ্দেশে।